Travel & Explore Yourself | Do It Now, The Future Is Promised To No One.

চট্টগ্রামের জাম্বুরি পার্কে আলো-আঁধারের কাব্য।

Leave a comment

জাম্বুরি পার্কএ যেন আলো-আঁধারের কাব্য! সাড়ে ৫০০ এলইডি বাতির আলো ঝলমল করছে। এর মধ্যে বর্ণিল হয়ে উঠেছে দুটি ফোয়ারা। আড়াই হাজার ফুট দীর্ঘ দৃষ্টিনন্দন সীমানাপ্রাচীরে ঘেরা ৮ হাজার রানিং ফুটের ওয়াকওয়েতে আলো-আঁধারি আবহ।

লিখেছেনঃ আরিফ খান

তারিখঃ০৯/০৯/২০১৮

মাঝে সাড়ে ৩ ফুট গভীর ৫০ হাজার বর্গফুটের জলাধারে বইছে নির্মল হাওয়া। কৃত্রিম হ্রদের কিনারে বসার জন্য তিনটি দুই ধাপের গ্যালারি। মাঠজুড়ে ছোট ছোট সবুজের ঝোঁপ। মাঝখানে দুটি ছাউনি। মাঠের প্রান্তে বিশ্রামের জন্য স্থায়ী বেঞ্চ। এই হলো বন্দরনগরী চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে সাজানো গোছানো জাম্বুরি পার্ক। সন্ধ্যার পর রঙিন আলোয় ঝলমলে করে এই মাঠ। উঁচু ভবন থেকে তাকালে তখন পুরো জায়গাটিকে লাগে নজরকাড়া।
জাম্বুরি পার্কজাম্বুরি পার্ক মূলত শরীরচর্চার জন্য প্রশস্ত ও দীর্ঘ জগিং ট্র্যাক। একইসঙ্গে এটি হয়ে উঠেছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের প্রশান্তির উন্মুক্ত উদ্যান। স্থাপত্য অধিদফতরের নকশায় ৮ দশমিক ৫৫ একর জমির জমির ওপর রোপণ করা হয়েছে ৬৫ প্রজাতির ১০ হাজার গাছের চারা। এর মধ্যে আছে সোনালু, নাগেশ্বর, চাঁপা, রাধাচূড়া, বকুল, শিউলি, সাইকাস, টগর, জারুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। আছে পাঁচ শতাধিক দেশি-বিদেশি উদ্ভিদরাজি। নিরাপত্তার জন্য বসানো হয়েছে ১৪টি ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা। জলাধারের পাশে রয়েছে দুটি পাম্প হাউস।

 

This slideshow requires JavaScript.

বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি থেকে সুরক্ষার জন্য পুরো পার্কটি সড়ক থেকে তিন ফুট উঁচু করা হয়েছে। পার্কের ভেতরের ও বাইরের পানি নিষ্কাশনের জন্য রয়েছে অভ্যন্তরীণ মাস্টার ড্রেন।পার্কের চার কর্নারে রয়েছে চারটি স্থাপনা। এর মধ্যে উত্তর-পূর্ব কোণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পার্কের অতিথিদের জন্য রাখা হয়েছে আধুনিক শৌচাগার। পার্কে প্রবেশের জন্য রয়েছে ছয়টি ফটক। উত্তর পাশে দুটি, দক্ষিণ পাশে দুটি, পূর্ব পাশে ১০ তলা ভবনের ফটকের সামনে একটি, পশ্চিম পাশে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে একটি বড় আকারের ফটক আছে।পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ছুটির দিনসহ প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণিপেশার কৌতূহলী মানুষ বেড়াতে আসছেন জাম্বুরি পার্কে। অনেকে শরীরচর্চা করছেন। সব মিলিয়ে সাড়া ফেলেছে জায়গাটি। শুক্রবারসহ ছুটির দিনগুলোতে দেখা যাচ্ছে উপচেপড়া ভিড়। তরুণ-তরুণীদের মধ্যে সেখানে সেলফি তোলার ধুম পড়েছে।গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাড়ে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পার্কটি সাজিয়েছে গণপূর্ত অধিদফতর। এটাকে বলা হচ্ছে চট্টগ্রামের সেরা পার্ক। বহুতলা কলোনি, সিডিএ আবাসিক এলাকা, ব্যাংক কলোনি, টিঅ্যান্ডটি কলোনি, পোস্ট অফিস কলোনিসহ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় জাম্বুরি পার্কটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যা করা হলে নতুন পর্যটন গন্তব্য হয়ে উঠতে পারে এই জায়গা।

বিঃদ্রঃ-যেখানেই যাই চিপসের প্যাকেট,পলিথিন ফেলে পরিবেশ নস্ট না করি।

Leave a comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.